সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
বরিশাল সদর উপজেলা ৯ নং টুংগীবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিশারদ গ্রামের বি কে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধার শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইউনিক আইডি ফরমের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি বিভিন্ন খরচ আছে তাই ইউনিক আইডির জন্য নয় টাকা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার সারা দেশে সকল মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইউনিক আইডি খোলার জন্য প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন কিন্তু বি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি খোলার জন্য স্কুল শাখার শিক্ষার্থীদের নিকট ১০০থেকে ১৫০ টাকা হারে জমা নিয়ে ফরম সরবরাহ করছেন।
এতে অভিভাবকরা আপত্তি করলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি।এক শিক্ষার্থী অভিভাবক হুমায়ুন মৃর্ধা বলেন, ইউনিক আইডি ফরম পূরণের জন্য টাকা আদায় এটা হাস্যকর।প্রতিষ্ঠান প্রধান কৌশল করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন।তিনি বলেন, ইউনিক আইডির নামে টাকা আদায় অযৌক্তিক। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক নানা কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বি কে,মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, ইউনিক আইডির জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে তবে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার জন্য ৫০ টাকা আর বাকি টাকা এই ফরম পূরণের খরচের জন্যই নেওয়া হয়েছে।
যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং বন্ধের সময় তাদের দিয়ে কাজ করায় একটা খরচ আছে। ফরমের তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য শিক্ষকদের সম্মানি দিতে হবে এবং অনলাইন করতে অনেক খরচ আছে। এসব খরচ মেটানোর জন্য এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বীধিকা সরকার বলেন, আমি সব স্কুলের সাথেই কথা বলেছি কোন স্কুলেই টাকা নেয় না, এগুলো মিথ্যা বানোয়াট। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে এমন কথায় তিনি বলেন, ‘যদি থাকে তাহলে আমাকে লিখিত দেন আপনারা আমি বিষয়টি দেখবো। বরিশাল সদর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান বলেন, ইউনিক আইডি খোলার বিষয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করে থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি ।
এদিকে ইউনিক আইডির নামে বিদ্যালয়টিতে সরেজমিন পরিদর্শন করার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় দৌঁড়ঝাপ করতেও দেখা গেছে, নিজাম হোসেন সিকদারকে। উল্লেখ্য,বি কে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুমানিক ৩থেকে সাড়ে ৪শ’ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইউনিক আইডি ফরম পূরণের নামে টাকা আদায় করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ , অভিযোগ সুত্রে ৯ নং টুংগীবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিশারদ গ্রামের বি কে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধার শিক্ষককে ৩/৪ মাস সাসপেন্ড করেন। পূর্ণরায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের ধরে ক্ষমতার বলে বি কে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় জয়েন্ট করেন। এনিয়ে স্থানীয়দে সাথে কথা বললে বলে, আনিচ মিয়া তাকে পূর্ণরায় স্কুলে আনেন।